{"title":"সম্প্রদায় ও সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে নজরুলের বোঝাপড়া এবং বাংলাদেশের সম্প্রদায়-সংকট","authors":"মোহাম্মদ আজম","doi":"10.62328/sp.v55i1.4","DOIUrl":null,"url":null,"abstract":"বাংলা অঞ্চলে সাম্প্রদায়িকতা বলতে সাধারণত হিন্দু-মুসলমানের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-বিরোধকে বোঝানো হয়। নজরুলও প্রধানত তা-ই বুঝতেন। তিনি কাজ করেছেন এই সংকটের তীব্রতার কালে। তাঁর রচনায় হিন্দু-মুসলমান যৌথ সংস্কৃতির যে পরিচয় মুদ্রিত হয়ে আছে, তার তুল্য কিছু বাংলা সাহিত্যে আগে বা পরে ঘটেনি। সঙ্গত কারণেই নজরুলকে এ অঞ্চলের অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রধান প্রতীক ভাবা হয়। বর্তমান প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে, নিজের জীবন ও সাহিত্যে নজরুল অসাম্প্রদায়িক চর্চাকে সুউচ্চ মহিমা দিতে পারলেও তাঁর এ-সম্পর্কিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ খুব তাৎপর্যপূর্ণ হয়নি। তাঁর হিন্দু-মুসলমান মিলন-আকাঙ্ক্ষা ছিল জাতীয়তাবাদী ঘরানার, যেখানে জাতি বা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে হিন্দু-মুসলমান যৌথ তৎপরতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত হয়েছে। ফলে এ যৌথতা মুখ্যত তাঁর শুভকামনা মাত্র। সম্প্রদায় ও সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে তিনি কোনো কাঠামোগত বিচার-বিশ্লেষণ করেননি। সমস্যার ঐতিহাসিক কুলজিও সন্ধান করেননি। এ কারণেই বাংলাদেশের বর্তমান সম্প্রদায়--সংকট বুঝতে ও বিচার-বিশ্লেষণ করতে নজরুল-রচনাবলি আমাদের খুব কমই সাহায্য করে। ","PeriodicalId":518775,"journal":{"name":"সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka","volume":"74 24","pages":""},"PeriodicalIF":0.0000,"publicationDate":"2024-07-10","publicationTypes":"Journal Article","fieldsOfStudy":null,"isOpenAccess":false,"openAccessPdf":"","citationCount":"0","resultStr":null,"platform":"Semanticscholar","paperid":null,"PeriodicalName":"সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka","FirstCategoryId":"1085","ListUrlMain":"https://doi.org/10.62328/sp.v55i1.4","RegionNum":0,"RegionCategory":null,"ArticlePicture":[],"TitleCN":null,"AbstractTextCN":null,"PMCID":null,"EPubDate":"","PubModel":"","JCR":"","JCRName":"","Score":null,"Total":0}
引用次数: 0
Abstract
বাংলা অঞ্চলে সাম্প্রদায়িকতা বলতে সাধারণত হিন্দু-মুসলমানের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-বিরোধকে বোঝানো হয়। নজরুলও প্রধানত তা-ই বুঝতেন। তিনি কাজ করেছেন এই সংকটের তীব্রতার কালে। তাঁর রচনায় হিন্দু-মুসলমান যৌথ সংস্কৃতির যে পরিচয় মুদ্রিত হয়ে আছে, তার তুল্য কিছু বাংলা সাহিত্যে আগে বা পরে ঘটেনি। সঙ্গত কারণেই নজরুলকে এ অঞ্চলের অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রধান প্রতীক ভাবা হয়। বর্তমান প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে, নিজের জীবন ও সাহিত্যে নজরুল অসাম্প্রদায়িক চর্চাকে সুউচ্চ মহিমা দিতে পারলেও তাঁর এ-সম্পর্কিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ খুব তাৎপর্যপূর্ণ হয়নি। তাঁর হিন্দু-মুসলমান মিলন-আকাঙ্ক্ষা ছিল জাতীয়তাবাদী ঘরানার, যেখানে জাতি বা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে হিন্দু-মুসলমান যৌথ তৎপরতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত হয়েছে। ফলে এ যৌথতা মুখ্যত তাঁর শুভকামনা মাত্র। সম্প্রদায় ও সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে তিনি কোনো কাঠামোগত বিচার-বিশ্লেষণ করেননি। সমস্যার ঐতিহাসিক কুলজিও সন্ধান করেননি। এ কারণেই বাংলাদেশের বর্তমান সম্প্রদায়--সংকট বুঝতে ও বিচার-বিশ্লেষণ করতে নজরুল-রচনাবলি আমাদের খুব কমই সাহায্য করে।
তার তুল্য কিছু বাংলা সাহিত্যে আগে বা পরে ঘটেনি। সঙ্গত কারণেই নজরুলকে এ অঞ্চলের অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রধান প্রতীক ভাবা হয়। বর্তমান প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে,নিজের জীবন ও সাহিত্যে নজরুল অসাম্প্রদায়িক চর্চাকে সুউচ্চ মহিমা দিতে পারলেও তাঁর এ-সম্পর্কিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ খুব তাৎপর্যপূর্ণ হয়নি। তাঁর হিন্দু-মুসলমান মিলন-আকাঙ্ক্ষা ছিল জাতীয়তাবাদী ঘরানার,যেখানে জাতি বা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে হিন্দু-মুসলমান যৌথ তৎপরতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত হয়েছে। ফলে এ যৌথতা মুখ্যত তাঁর শুভকামনা মাত্র। সম্প্রদায় ও সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে তিনি কোনো কাঠামোগত বিচার-বিশ্লেষণ করেননি। সমস্যার ঐতিহাসিক কুলজিও সন্ধান করেননি। এ কারণেই বাংলাদেশের বর্তমান সম্প্রদায়--সংকট বুঝতে ও বিচার-বিশ্লেষণ করতে নজরুল-রচনাবলি আমাদের খুব কমই সাহায্য করে।