বাংলা অঞ্চলে সাম্প্রদায়িকতা বলতে সাধারণত হিন্দু-মুসলমানের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-বিরোধকে বোঝানো হয়। নজরুলও প্রধানত তা-ই বুঝতেন। তিনি কাজ করেছেন এই সংকটের তীব্রতার কালে। তাঁর রচনায় হিন্দু-মুসলমান যৌথ সংস্কৃতির যে পরিচয় মুদ্রিত হয়ে আছে, তার তুল্য কিছু বাংলা সাহিত্যে আগে বা পরে ঘটেনি। সঙ্গত কারণেই নজরুলকে এ অঞ্চলের অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রধান প্রতীক ভাবা হয়। বর্তমান প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে, নিজের জীবন ও সাহিত্যে নজরুল অসাম্প্রদায়িক চর্চাকে সুউচ্চ মহিমা দিতে পারলেও তাঁর এ-সম্পর্কিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ খুব তাৎপর্যপূর্ণ হয়নি। তাঁর হিন্দু-মুসলমান মিলন-আকাঙ্ক্ষা ছিল জাতীয়তাবাদী ঘরানার, যেখানে জাতি বা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে হিন্দু-মুসলমান যৌথ তৎপরতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত হয়েছে। ফলে এ যৌথতা মুখ্যত তাঁর শুভকামনা মাত্র। সম্প্রদায় ও সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে তিনি কোনো কাঠামোগত বিচার-বিশ্লেষণ করেননি। সমস্যার ঐতিহাসিক কুলজিও সন্ধান করেননি। এ কারণেই বাংলাদেশের বর্তমান সম্প্রদায়--সংকট বুঝতে ও বিচার-বিশ্লেষণ করতে নজরুল-রচনাবলি আমাদের খুব কমই সাহায্য করে।
তার তুল্য কিছু বাংলা সাহিত্যে আগে বা পরে ঘটেনি। সঙ্গত কারণেই নজরুলকে এ অঞ্চলের অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রধান প্রতীক ভাবা হয়। বর্তমান প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে,নিজের জীবন ও সাহিত্যে নজরুল অসাম্প্রদায়িক চর্চাকে সুউচ্চ মহিমা দিতে পারলেও তাঁর এ-সম্পর্কিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ খুব তাৎপর্যপূর্ণ হয়নি। তাঁর হিন্দু-মুসলমান মিলন-আকাঙ্ক্ষা ছিল জাতীয়তাবাদী ঘরানার,যেখানে জাতি বা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে হিন্দু-মুসলমান যৌথ তৎপরতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত হয়েছে। ফলে এ যৌথতা মুখ্যত তাঁর শুভকামনা মাত্র। সম্প্রদায় ও সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে তিনি কোনো কাঠামোগত বিচার-বিশ্লেষণ করেননি। সমস্যার ঐতিহাসিক কুলজিও সন্ধান করেননি। এ কারণেই বাংলাদেশের বর্তমান সম্প্রদায়--সংকট বুঝতে ও বিচার-বিশ্লেষণ করতে নজরুল-রচনাবলি আমাদের খুব কমই সাহায্য করে।
{"title":"সম্প্রদায় ও সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে নজরুলের বোঝাপড়া এবং বাংলাদেশের সম্প্রদায়-সংকট","authors":"মোহাম্মদ আজম","doi":"10.62328/sp.v55i1.4","DOIUrl":"https://doi.org/10.62328/sp.v55i1.4","url":null,"abstract":"বাংলা অঞ্চলে সাম্প্রদায়িকতা বলতে সাধারণত হিন্দু-মুসলমানের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-বিরোধকে বোঝানো হয়। নজরুলও প্রধানত তা-ই বুঝতেন। তিনি কাজ করেছেন এই সংকটের তীব্রতার কালে। তাঁর রচনায় হিন্দু-মুসলমান যৌথ সংস্কৃতির যে পরিচয় মুদ্রিত হয়ে আছে, তার তুল্য কিছু বাংলা সাহিত্যে আগে বা পরে ঘটেনি। সঙ্গত কারণেই নজরুলকে এ অঞ্চলের অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রধান প্রতীক ভাবা হয়। বর্তমান প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে, নিজের জীবন ও সাহিত্যে নজরুল অসাম্প্রদায়িক চর্চাকে সুউচ্চ মহিমা দিতে পারলেও তাঁর এ-সম্পর্কিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ খুব তাৎপর্যপূর্ণ হয়নি। তাঁর হিন্দু-মুসলমান মিলন-আকাঙ্ক্ষা ছিল জাতীয়তাবাদী ঘরানার, যেখানে জাতি বা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে হিন্দু-মুসলমান যৌথ তৎপরতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত হয়েছে। ফলে এ যৌথতা মুখ্যত তাঁর শুভকামনা মাত্র। সম্প্রদায় ও সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে তিনি কোনো কাঠামোগত বিচার-বিশ্লেষণ করেননি। সমস্যার ঐতিহাসিক কুলজিও সন্ধান করেননি। এ কারণেই বাংলাদেশের বর্তমান সম্প্রদায়--সংকট বুঝতে ও বিচার-বিশ্লেষণ করতে নজরুল-রচনাবলি আমাদের খুব কমই সাহায্য করে। ","PeriodicalId":518775,"journal":{"name":"সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka","volume":"74 24","pages":""},"PeriodicalIF":0.0,"publicationDate":"2024-07-10","publicationTypes":"Journal Article","fieldsOfStudy":null,"isOpenAccess":false,"openAccessPdf":"","citationCount":null,"resultStr":null,"platform":"Semanticscholar","paperid":"141662673","PeriodicalName":null,"FirstCategoryId":null,"ListUrlMain":null,"RegionNum":0,"RegionCategory":"","ArticlePicture":[],"TitleCN":null,"AbstractTextCN":null,"PMCID":"","EPubDate":null,"PubModel":null,"JCR":null,"JCRName":null,"Score":null,"Total":0}
কাব্য-বিচারের সমাজতাত্ত্বিক রীতি-পদ্ধতি যেমন জনপ্রিয়, ঠিক তেমনি কাব্যধারার নিজস্ব বলয়ের সীমার মধ্যে নান্দনিক পর্যালোচনাও যথেষ্ট প্রভাবশালী। বর্তমান প্রবন্ধে এ দুয়ের সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে অগ্নি-বীণা কাব্যের নন্দনসূত্র উন্মোচিত হয়েছে। দেখানো হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ও তীব্র কাব্য হিসেবে অগ্নি-বীণা বাংলা কাব্যধারায় ছেদ যেমন ঘটিয়েছে, ঠিক তেমনি নানা মাত্রার ধারাবাহিকতাও রক্ষা করেছে। কিন্তু পরিপ্রেক্ষিতগত স্বাতন্ত্র্যের কারণে সমাজপটের উন্মোচন ব্যতিরেকে ওই ছেদ ও ধারাবাহিকতার যথার্থ মূল্যায়ন দুরূহ। এ কারণেই সমাজতাত্ত্বিক পটভূমিকে সমীকৃত করেই কেবল কাব্যটির নতুন নান্দনিকতার স্বরূপ উদ্ঘাটন সম্ভব। বাংলা সমালোচনা-সাহিত্যে নজরুল কাব্যের সমাজতত্ত্ব ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও মুখ্যত ‘বিষয়’ হিসেবেই তা বিবেচনায় এসেছে। অগ্নি-বীণার বর্তমানময়তা, ধ্বনিময় সাঙ্গীতিকতা ও উচ্চকণ্ঠ বক্তব্যময়তাকে প্রভাবশালী নন্দনতত্ত্বের নিরিখে বিচার করায় তার নান্দনিক তাৎপর্য শ্রেষ্ঠাংশে অধরাই থেকে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে বর্তমান প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে, পটভূমিগত নতুনত্ব ও ভিন্নতার বিশ্লেষণ কাব্যটির নন্দনসূত্র তুলনামূলক কার্যকরভাবে উন্মোচন করতে পারে।
ঠিক তেমনি কাব্যধারার নিজস্ব বলয়ের সীমার মধ্যে নান্দনিক পর্যালোচনাও যথেষ্ট প্রভাবশালী। বর্তমান প্রবন্ধে এ দুয়ের সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে অগ্নি-বীণা কাব্যের নন্দনসূত্র উন্মোচিত হয়েছে। দেখানো হয়েছে,ধ্বনিময় সাঙ্গীতিকতা ও উচ্চকণ্ঠ বক্তব্যময়তাকে প্রভাবশালী নন্দনতত্ত্বের নিরিখে বিচার করায় তার নান্দনিক তাৎপর্য শ্রেষ্ঠাংশে অধরাই থেকে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে বর্তমান প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে,网址 侥幸 侥幸 侥幸 侥幸 侥幸 侥幸 侥幸 侥幸াাাা।।।।
{"title":"অগ্নি-বীণার নান্দনিকতা ও এর সমাজতত্ত্ব","authors":"মোহাম্মদ আজম","doi":"10.62328/sp.v58i1-2.2","DOIUrl":"https://doi.org/10.62328/sp.v58i1-2.2","url":null,"abstract":"কাব্য-বিচারের সমাজতাত্ত্বিক রীতি-পদ্ধতি যেমন জনপ্রিয়, ঠিক তেমনি কাব্যধারার নিজস্ব বলয়ের সীমার মধ্যে নান্দনিক পর্যালোচনাও যথেষ্ট প্রভাবশালী। বর্তমান প্রবন্ধে এ দুয়ের সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে অগ্নি-বীণা কাব্যের নন্দনসূত্র উন্মোচিত হয়েছে। দেখানো হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ও তীব্র কাব্য হিসেবে অগ্নি-বীণা বাংলা কাব্যধারায় ছেদ যেমন ঘটিয়েছে, ঠিক তেমনি নানা মাত্রার ধারাবাহিকতাও রক্ষা করেছে। কিন্তু পরিপ্রেক্ষিতগত স্বাতন্ত্র্যের কারণে সমাজপটের উন্মোচন ব্যতিরেকে ওই ছেদ ও ধারাবাহিকতার যথার্থ মূল্যায়ন দুরূহ। এ কারণেই সমাজতাত্ত্বিক পটভূমিকে সমীকৃত করেই কেবল কাব্যটির নতুন নান্দনিকতার স্বরূপ উদ্ঘাটন সম্ভব। বাংলা সমালোচনা-সাহিত্যে নজরুল কাব্যের সমাজতত্ত্ব ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও মুখ্যত ‘বিষয়’ হিসেবেই তা বিবেচনায় এসেছে। অগ্নি-বীণার বর্তমানময়তা, ধ্বনিময় সাঙ্গীতিকতা ও উচ্চকণ্ঠ বক্তব্যময়তাকে প্রভাবশালী নন্দনতত্ত্বের নিরিখে বিচার করায় তার নান্দনিক তাৎপর্য শ্রেষ্ঠাংশে অধরাই থেকে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে বর্তমান প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে, পটভূমিগত নতুনত্ব ও ভিন্নতার বিশ্লেষণ কাব্যটির নন্দনসূত্র তুলনামূলক কার্যকরভাবে উন্মোচন করতে পারে। ","PeriodicalId":518775,"journal":{"name":"সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka","volume":" 46","pages":""},"PeriodicalIF":0.0,"publicationDate":"2024-07-07","publicationTypes":"Journal Article","fieldsOfStudy":null,"isOpenAccess":false,"openAccessPdf":"","citationCount":null,"resultStr":null,"platform":"Semanticscholar","paperid":"141670689","PeriodicalName":null,"FirstCategoryId":null,"ListUrlMain":null,"RegionNum":0,"RegionCategory":"","ArticlePicture":[],"TitleCN":null,"AbstractTextCN":null,"PMCID":"","EPubDate":null,"PubModel":null,"JCR":null,"JCRName":null,"Score":null,"Total":0}
জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, সফিউদ্দীন আহমেদ, এস. এম. সুলতান প্রমুখের চিত্রচর্চার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের চিত্রকলার প্রথম পর্যায় নির্মিত হয়। তাঁদের প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত হয়ে আমিনুল ইসলাম, হামিদুর রাহমান, মুর্তজা বশীর, রশিদ চৌধুরী, কাইয়ুম চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, কাজী আবদুল বাসেত ও দেবদাস চক্রবর্তী (এবং এঁদের সাথে কলকাতা থেকে আসা মোহাম্মদ কিবরিয়া) প্রমুখ শিল্পী যে চিত্রভাষা নির্মাণ করেন, তাকে বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রের দ্বিতীয় পর্যায় হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এ শিল্পীরা পাশ্চাত্য আধুনিক চিত্রধারার বিমূর্তকরণ প্রক্রিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হন এবং বিমূর্ত ছবি নির্মাণ করেন। আমিনুলদের প্রথম দিকের বিমূর্তকরণের মাঝে অবয়বের উপস্থিতি ছিল। বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদ বা অ্যাবস্ট্রাক্ট এক্সপ্রেশনিজমের প্রভাবে শিল্পীরা মূলত অবয়বহীন বিমূর্ত ছবি নির্মাণ শুরু করেন। বিমূর্ত চিত্রভাষা হলেও নিজের দেশ ও সমাজের অভিজ্ঞতাই তাঁদের ছবিতে প্রকাশ পেয়েছে। এভাবে '৫০-এর দশকের মধ্য থেকে '৬০-এর দশক পর্যন্ত তাঁরা যে বিমূর্তরীতির নিরীক্ষাধর্মী ছবিগুলো করেন, তা আমাদের আধুনিক চিত্রচর্চার দ্বিতীয় পর্যায় তৈরি করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের এই বৈশিষ্ট্যগুলোই বিশ্লেষিত হবে এ প্রবন্ধে ।
এortune.সুলতান প্রমুখের চিত্রচর্চার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের চিত্রকলার প্রথম পর্যায় নির্মিত হয়। তাঁদের প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত হয়ে আমিনুল ইসলাম, হামিদুর রাহমান, মুর্তজা বশীর,রশিদ চৌধুরী, কাইয়ুম চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, কাজী আবদুল বাসেত ও দেবদাস চক্রবর্তী (এবং এঁদের সাথে কলকাতা থেকে আসা মোহাম্মদ কিবরিয়া) প্রমুখ শিল্পী যে চিত্রভাষা নির্মাণ করেন,তা 掩护 বাংলাা আধুortuneortune চ চ 摰狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛狾憛
{"title":"বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলার দ্বিতীয় পর্যায়: পঞ্চাশ ও ষাটের দশক","authors":"মাসুদা খাতুন জুঁই","doi":"10.62328/sp.v58i3.11","DOIUrl":"https://doi.org/10.62328/sp.v58i3.11","url":null,"abstract":"জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, সফিউদ্দীন আহমেদ, এস. এম. সুলতান প্রমুখের চিত্রচর্চার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের চিত্রকলার প্রথম পর্যায় নির্মিত হয়। তাঁদের প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত হয়ে আমিনুল ইসলাম, হামিদুর রাহমান, মুর্তজা বশীর, রশিদ চৌধুরী, কাইয়ুম চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, কাজী আবদুল বাসেত ও দেবদাস চক্রবর্তী (এবং এঁদের সাথে কলকাতা থেকে আসা মোহাম্মদ কিবরিয়া) প্রমুখ শিল্পী যে চিত্রভাষা নির্মাণ করেন, তাকে বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রের দ্বিতীয় পর্যায় হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এ শিল্পীরা পাশ্চাত্য আধুনিক চিত্রধারার বিমূর্তকরণ প্রক্রিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হন এবং বিমূর্ত ছবি নির্মাণ করেন। আমিনুলদের প্রথম দিকের বিমূর্তকরণের মাঝে অবয়বের উপস্থিতি ছিল। বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদ বা অ্যাবস্ট্রাক্ট এক্সপ্রেশনিজমের প্রভাবে শিল্পীরা মূলত অবয়বহীন বিমূর্ত ছবি নির্মাণ শুরু করেন। বিমূর্ত চিত্রভাষা হলেও নিজের দেশ ও সমাজের অভিজ্ঞতাই তাঁদের ছবিতে প্রকাশ পেয়েছে। এভাবে '৫০-এর দশকের মধ্য থেকে '৬০-এর দশক পর্যন্ত তাঁরা যে বিমূর্তরীতির নিরীক্ষাধর্মী ছবিগুলো করেন, তা আমাদের আধুনিক চিত্রচর্চার দ্বিতীয় পর্যায় তৈরি করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের এই বৈশিষ্ট্যগুলোই বিশ্লেষিত হবে এ প্রবন্ধে ।","PeriodicalId":518775,"journal":{"name":"সাহিত্য পত্রিকা - Shahitto Potrika | University of Dhaka","volume":"4 4","pages":""},"PeriodicalIF":0.0,"publicationDate":"2024-01-25","publicationTypes":"Journal Article","fieldsOfStudy":null,"isOpenAccess":false,"openAccessPdf":"","citationCount":null,"resultStr":null,"platform":"Semanticscholar","paperid":"140530555","PeriodicalName":null,"FirstCategoryId":null,"ListUrlMain":null,"RegionNum":0,"RegionCategory":"","ArticlePicture":[],"TitleCN":null,"AbstractTextCN":null,"PMCID":"","EPubDate":null,"PubModel":null,"JCR":null,"JCRName":null,"Score":null,"Total":0}